চাকরির প্রলোভনে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কুমিল্লায় এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়েজ ইকবাল।
ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে দাউদকান্দি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
সম্পর্কিত খবর
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- উপজেলার পশ্চিম হুগলিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মিরাজুল ইসলাম মিরাজ (১৯), একই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে অপু (২৬) ও মৃত বারেক মিয়ার ছেলে মোখলেছ (২৫)।
পুলিশ সুপার ফয়েজ ইকবাল জানান, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অফিসিয়াল নম্বরে অজ্ঞাত ফোন আসে। ফোনে বলা হয়, একজন কিশোরী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে পশ্চিম হুগলিয়া ঝোপঝাড়ের মধ্যে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, অভিযুক্ত মিরাজুল ইসলাম মিরাজের সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয় কিশোরীর। ভুক্তভোগী তার জন্ম নিবন্ধনে বয়স কম জানালে, মিরাজ সেটা সংশোধন করে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। এতে রাজি হয়ে সোমবার বিকেলে মিরাজের সঙ্গে কিশোরী দেখা করতে আসে। এসময় মিরাজ ও তার পাঁচ সহযোগী নির্জনে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর অচেতন অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে- জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।